Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাহজালালে যাত্রীর মুখে হাসি ফোটাল এপিবিএন


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৮

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এক নম্বর টার্মিনালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাবেদ খান। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার সঙ্গে থাকা জ্যাকেটটি হারিয়ে ফেলেন। দিশেহারা জাবেদ খান গেলেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অফিসে।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকের। এপিবিএন অফিসে প্রবেশ করেই ইতালি প্রবাসী জাবেদ খান এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন শিমুলের সহযোগিতা চান।

তখনই এপিবিএন-এর এই কর্মকর্তা সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন। পুরো বিমানবন্দরের ভেতরে এবং বাইরের ফুটেজ দেখা হয়। এক পর্যায়ে প্রবাসী জাবেদ খানের জ্যাকেটটি টার্মিনাল এক এর বহিরাঙ্গণের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন এপিবিএন চারদিকে তাদের সদস্যদের তথ্যটি জানিয়ে দেয়। অতপর এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মাত্র ১০ মিনিটের প্রচেষ্টায় জাবেদ খান ফিরে পান তার জ্যাকেট।

জ্যাকেটটি ফিরে পেয়ে কেঁদে ফেলেন এই ইতালি প্রবাসী। তখন এই দৃশ্য বিমানবন্দরের ভেতরে এক আবেগঘন পরিবেশের জন্ম দেয়।

অতপর জাবেদ খানের সঙ্গে ঐ মুহূর্তে কথা হয় সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের। জানতে চাওয়া হয় একটি জ্যাকেটের জন্য কেন তিনি এপিবিএন-এর সহায়তা নিলেন। তখন অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জাবেদ খান বলেন, ‘ঐ জ্যাকেটটি ছিলো আমার জীবনের শেষ সম্বল। জ্যাকেটটির ভেতরে আমার এক বছরের রুজি ছিল। আমি ইতালির একটি গার্মেন্টসে কাজ করি। সেখানে কত কষ্ট করতে হয় আমাদের প্রকাশ করতে পারব না। আর এই জ্যাকেটটির ভেতরে এক বছরের পুঁজি বাংলাদেশি টাকায় ৫ লাখ টাকা ছিল। আর সেটি হারিয়ে গেলে আমার সবই শেষ হয়ে যেত।

বিজ্ঞাপন

এপিবিএনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। জ্যাকেটটি হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এপিবিএন এর সাহায্য চেয়েছি। তারা ১০ মিনিটের মধ্যে আমার জ্যাকেটটি খুঁজে বের করে আমার হাতে দিয়েছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের এই সেবাটি যেন অব্যাহত থাকে এই আশা করি। এই সেবাটি যেন কখনো বন্ধ না করা হয়। কারণ আমরা যারা প্রবাসী তাদের কাছে এই সেবাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কেন না আজ যদি আমি জ্যাকেটটি না পেতাম তাহলে আমার সব কিছু শেষ হয়ে যেত।’

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন শিমুল সারাবাংলাকে বলেন, জাবেদ খান তার জ্যাকেটটি হারিয়ে আমাদের সাহায্য চান। আমি তাৎক্ষণিক সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জ্যাকেটটির স্থান শনাক্ত করি। এরপর চারিদিকে আমাদের সদস্যদের কাছে তথ্যটি পৌঁছে দেই। এরপর আমরা জ্যাকেটটি উদ্বার করে ইতালি প্রবাসী জাবেদ খানের হাতে তুলে দেই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শাহজালাল বিমানবন্দরে ২০১০ সাল থেকে যাত্রীদের সেবা এবং নিরাপত্তার কাজ করে আসছি। যাত্রীদের হারানো লাগেজ উদ্বার, চুরি যাওয়া লাগেজ উদ্বার, ফেলে যাওয়া লাগেজ উদ্বার, বিদেশে নির্যাতিত কর্মীদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, মাদক উদ্ধার, লাগেজ কাটা চক্র ও প্রতারকদের আটকসহ যাবতীয় যাত্রী হয়রানি বন্ধে কাজ করে থাকি। আমাদের এই সেবা অব্যাহত থাকবে।

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর