বাইকের চাবি না দেওয়ায় জাবি শিক্ষার্থীকে মারধর

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।

জাবি: মটর বাইকের চাবি না দেওয়ায় মধ্যরাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মওলানা ভাসানী হলের আট আবাসিক ছাত্রের বিরুদ্ধে, তারা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী মোহা. আহসান হাবিব গণিত বিভাগ ৪৪ তম ব্যাচের ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মারধরের শিকার আহসান হাবিব অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুমি আল মেহেদী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী জয়, প্রাণ রসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ইমরান হাসান হৃদয়, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ইহসান নাঈম ও আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের মেহেদী হাসান ও অর্থনীতি বিভাগের মোস্তফা শাহীন। এরা সবাই মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী। তবে অভিযুক্ত বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।

অভিযোগপত্রে আহসান হাবিব উল্লেখ করেন, ‘আমি মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গত দেড় বছর ধরে হলে অবস্থান করছি। কিন্তু গতকাল রাত ২টার সময় হঠাৎ করে আমার মোবাইলে কল আসে এবং তাৎক্ষণিক আমার বাইকের চাবি নিয়ে হল গেটে যেতে বলে। আমি না যাওয়ার কথা বললে এক জুনিয়র ছাত্রলীগ কর্মীকে আমার রুমে পাঠায়। তখনও আমি চাবি দিইনি। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে উল্লেখিত ছাত্রলীগ কর্মীরা আমার রুমের দরজায় এসে লাথি মারতে থাকে। এমতাবস্থায় আমি দরজা খুললে অতর্কিত মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘মারধরের সময় কয়েকজন সংবাদকর্মী আমাকে রক্ষা করতে আসলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে মারতে উদ্যত হয়।’ এছাড়া গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি হলটির ৩০২ নং কক্ষে স্বপ্ন জামান (জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ, ৪৪ ব্যাচ) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী তাকে মারধর করে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনো জানি না। তবে ছাত্রলীগের কেউ এরকম কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু এটা হলের বিষয় এজন্য আমি হল প্রভোস্টকে অবহিত করেছি। হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। হল প্রশাসন আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো।’

সারাবাংলা/এমআই