শামিমা বাংলাদেশি নয়, তার ঠাঁই এখানে হবে না: বাংলাদেশ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া শামিমা বেগম জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক। বাংলাদেশের যৌথ নাগরিকত্বের জন্য তিনি কখনও আবেদনই করেননি, তাই তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এক বার্তায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানও এ তথ্য জানিয়েছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শামিমার বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে বলে যে বক্তব্য এসেছে তা মিথ্যা এবং বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনায় উদ্বেগ জানাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে, শামিমা বেগমকে ভুলভাবে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের যৌথ নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সরকার দৃঢ়ভাবে বলতে চায়, শামিমা বাংলাদেশের নাগরিক নন, জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক। বাংলাদেশের যৌথ নাগরিকত্বের জন্য তিনি কখনোই আবেদন করেননি।’
‘অভিভাবকের দিক থেকে যোগসূত্র থাকলেও শামিমা কখনোই বাংলাদেশে আসেননি। তাই তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে শামিমা বৃটেন থেকে আইএস-এ যোগ দিতে যায়। সেখানে ইংরেজিভাষী এক আইএস জঙ্গির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার তিন সন্তানের মধ্যে একটির মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় আইএস দুর্বল হয়ে পড়লে এবং নিজের ভুল বুঝতে পেরে শামিমা এখন বৃটেনে ফিরতে চান। বর্তমানে তার বয়স ১৯ বছর। তবে তাকে কোনওভাবেই ফিরিয়ে নিতে রাজি নয় বৃটেন। পূর্বপুরুষ বাংলাদেশি হলেও বাংলাদেশে তার কোনো স্থান হবে না, সেটাও জানাচ্ছে ঢাকা।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমএম/এসএমএন