সারাবাংলার সংবাদে শহিদ মিনার পাচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:০৩
।। আশিকুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
রাজবাড়ী: সারাবাংলা ডটনেটে সংবাদ প্রকাশের পর রাজবাড়ীর তরুণ সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য বিশ হাজার টাকা পেয়েছে।
আমরা রাজবাড়ীর সন্তানের (এ.আর.এস) উপদেষ্টা মো. আশরাফুল ইসলামের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে এ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। দুপুরে সংগঠনটির সভাপতি শামীম হাসান এই সহায়তা দেন।
এ সময় সারাবাংলা ডটনেট ও জিটিভির রাজবাড়ী ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট আশিকুর রহমান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী খান, সহকারী শিক্ষক কাজী আব্দুর রব, শিরিন আক্তার ও জয়নব খাতুনসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ে ইট-সিমেন্টের তৈরি শহিদ মিনার নেই। ফলে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী মিনার বানিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় স্কুলটির শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কলাগাছের স্মৃতির মিনার’ শিরোনামে সারাবাংলা ডটনেটে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজড়ে পড়ে ফ্রান্স প্রবাসী এ আর.এস’ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফ্রান্স শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজবাড়ীর সন্তান মো. আশরাফুল ইসলামের।
সংবাদ প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তিনি সংশ্লিষ্ট সারাবাংলা ডটনেট ও জিটিভির রাজবাড়ী ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট আশিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য বিশ হাজার টাকা দেবেন বলে জানান।
শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য টাকা পেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী খান সারাবাংলা ডটনেট ও এ.আর.এস ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘টাকা না থাকায় এতদিন বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এই টাকা দিয়ে ২-১ দিনের মধ্যেই স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করব।’
এ বিষয়ে ‘এ.আর.এস’ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা আশরাফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভাষা শহিদদের প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরির বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করেছে। যে কারণে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিই যে তাদের বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেব।’
‘আপাতত বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। নির্মাণ কাজ শুরুর পর আরও টাকা লাগলে দেব।’
সারাবাংলা/একে