Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪৬ মরদেহ শনাক্ত, ৪৫টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর


২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:২১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: চকবাজারের চুড়িহাট্টায় হাজী ওয়াহেদ ম্যানসনে আগুনের ঘটনায় উদ্ধার করা ৬৭টি মরদেহের মধ্যে ৪৬টি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মরদেহ এরই মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২১টি মরদেহ শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে।

আরও পড়ুন- ওয়াহেদ ম্যানশনে কেমিক্যাল ব্যবসার অনুমতি ছিলো না

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২২টি মরদেহ হস্তান্তর হয়। পরে সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত বাকি ২৩টি মরদেহ হস্তান্তর হয়।

আরও পড়ুন- ‘কেমিক্যাল অবশ্যই ছিল, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না’

যে মরদেহগুলো শনাক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন— লালবাগ ভাট মসজিদ এলাকার ফালু মিয়ার ছেলে মিঠু (২৮), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৮) ও ছেলে সাহির (৪); নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলার আলী আজমের ছেলে আব্দুর রহিম দুলাল (৪৫), একই উপজেলার সিরাজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৩); একই উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামের নাছির উদ্দিন (৩৫); কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেন (৩০); লালবাগ আমলিগোলা এলাকার ফিরোজ খানের ছেলে মিরাজ খান নয়ন (২৪); চকবাজার উর্দু রোডের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়শা খাতুন (৪৫), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের সৈয়দ কামাল উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ খবির উদ্দিন (৩৮); নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের শহিদুল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২); শরীয়তপুর সদরের বিল্লাল (৪৭); কামরাঙ্গীরচরের ইসলামনগর এলাকার ইসহাক ব্যাপারী (৪২); চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান মিয়ার ছেলে শামছুল হক (৬৮); কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার আবুবকরের ছেলে খোরশেদ আলম (২২) ও একই উপজেলার মোজাম্মেল হকের ছেলে রাজু (১৮); কুড়িগ্রাম সদরের আ. কাদেরের ছেলে সজিব (২৩); চকবাজার আজগর লেনের জয়নাল আবেদীন (৫৫); ফেনীর সালাম ভুইয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮) এবং পারভেজ (২৩) ও সাইফুল ইসলাম (৩৩)।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘গ্যাস সিলিন্ডারের নামে পারমাণবিক বোমা চাই না’

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও ঢামেক হাসপাতালের মর্গে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মরদেহগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ঢামেক হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজে জায়গা না থাকায় পাঁচটি মরদেহ রেখে বাকিগুলো চারটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঁচটি, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চারটি এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনটি মরদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব হাসপাতালে গিয়ে স্বজনরা মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- আগুনে পোড়া ১৪ জনকে দাফন, আজিমপুর খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা

যে মরদেহগুলো শনাক্ত করা যায়নি, সেগুলো শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হবে রোববার থেকে। ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘৬৭টি মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। বাকি ২২টি মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে থাকলেও স্বজনরা সেখানে গিয়ে শনাক্ত করতে পারবেন। রোববার থেকে মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

৬৭ মরদেহ চকবাজারে আগুন ডিএনএ টেস্ট মরদেহ শনাক্ত হাজী ওয়াহেদ ম্যানসন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর