।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী এবং পার্শ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ঝরনা থেকে সব ধরনের পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের শুনানির পর রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বান্দরবান জেলার ডিসি, এসপিসহ ১০ বিবাদীকে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। তাকে সহযোগিতা করেন জামিউল হক ফয়সাল।
বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আদিবাসী ফোরাম, নিজেরা করি, কাপিং ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও স্থানীয় নাগরিক মং সৈপ্রু খাইয়ামসহ সাত ব্যক্তিও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই রিট দায়ের করা হয়।
শুনানি শেষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম জানান, আদালত আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন। রুলে সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে বান্দরবানের পাথর উত্তোলন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বান্দরবানের আলীকদম ও লামা উপজেলায় পাথর আহরণের যে কোনো অনুমতি নেই, স্বয়ং জেলা প্রশাসকই তাহা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু অনুমতির তোয়াক্কা না করেই উপজেলা দুটিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচার অব্যাহত রয়েছে। যথেচ্ছভাবে পাহাড় কেটে ও ঝরনা খুঁড়ে লাখ লাখ ঘনফুট পাথর পাচার হচ্ছে। জানা যায়, আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরী রিজার্ভের তুলাতলী, বুজি ও ধুমচি খাল, চৈক্ষ্যং-এর বাঘের ঝরনা, আলীকদম থানচি সড়কের আশেপাশের ঝরনা এবং পাহাড় ও ঝরনা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ পাথর পাচারের জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে।’ প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে রিট দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/ এজেডকে/এমএনএইচ