দশ বছরে কৃষিতে ভর্তুকি ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সংসদ ভবন থেকে: দশ বছরে সরকার কৃষিতে ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সংসদকে এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা আসার পরপরই সারের মূল্য কমিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সারেই ৬১ হাজার ১২৩ কোটি ৯৩ লাখ, বিদ্যুতে ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৯ লাখ, ইক্ষুতে ১৪২ কোটি ৮৮ লাখ, ডিজেলে ভর্তুকি ৭৫০ কোটি টাকা।
সংসদে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিকটন, সেখানে বর্তমানে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেড়ে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। সঠিক সময়ে সুলভমূল্যে সার পাওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মো. রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রোপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা এবং বোরো ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা। এছাড়া ২০১৮-১৯ বছরে রোপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ২৫ টাকা ৩০ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৬ টাকা। ধানের সংগ্রহ মূল্য উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষক লাভবান হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএনএইচ