সারাবাংলা প্রতিবেদক
গণমাধ্যমের প্রশংসনীয় ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এইচআইভি/এইডস ছড়িয়ে পড়েনি। গণমাধ্যমের অবদানের কারণেই এইচআইভি সম্পর্কে দেশের মানুষ সচেতন হয়েছেন।
৩ ডিসেম্বর এইচআইভি সেবা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এর উদ্যোগে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না। বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ২০১৩ সালের ১৬ মে থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা প্রদান করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেই সেবা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ সেবার অধীনে এ পর্যন্ত এইচআইভি আক্রান্ত মোট ৪৯ জন মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন।
সমাবেশে জানানো হয়, ১৯৮৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত করা হয় এবং সে সেবা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে যা স্ট্রেনদেনিং অব এইচআইভি সার্ভিসেস নামে চলতি বছরে চালু হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে এইচআইভি আক্রান্তদের বিনামূল্যে এআরভি দেওয়া হচ্ছে।
আজকের সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবদুর রহিম, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাল আল হারুন এবং অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরীসহ অন্যরা।
জেএ/একে