Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাহজালালে কয়েক স্তরের তল্লাশি, তবু ধরা পড়েনি বিমান ছিনতাইকারী


২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৯

।। শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীকে প্রবেশ করতে হলে পদে পদে তল্লাশি করা হয়ে থাকে। কয়েক স্তরে তল্লাশি শেষে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিমানে ওঠার সুযোগ পান যাত্রীরা।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেহে অস্ত্র বহন করেই বিমানে ওঠে এক যাত্রী। এরপর বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী। এর ফলে শাহজালালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

শাহ আমানতের বিমান ছিনতাইকারী (ফটো এক্সক্লুসিভ)

বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, শাহজালালে হেভি লাগেজ চেকিং এবং বডি স্ক্যানিংয়ের কাজ করে থাকে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির নিজস্ব বাহিনী এভসেক। এভসেক বিমান বাহিনীর অধীনে পরিচালিত। এই এভসেকে রয়েছে বিমান বাহিনীর সদস্য, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সদস্য, আনসার ও পুলিশের সদস্য। কোনো যাত্রী বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে তাকে অবশ্যই এভসেকের চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। নয়তো যাত্রী বিমানে উঠতে পারবে না।

শুধু তাই নয়, শাহজালালে প্রথমে প্রবেশ করলেই হেভি লাগেজ চেকিংয়ের আওতায় যাত্রীর লাগেজ চেকিং হয়। এরপর আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হ্যান্ড চেকিং শেষ হলে যাত্রীর প্রথম ধাপের চেকিং শেষ হয়। এরপর যাত্রী সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের চেকিং কাউন্টার থেকে বোডিং পাশ সংগ্রহ করেন। এরপর অভ্যন্তরীণ যাত্রী হলে বোডিং ব্রিজের আগে আবার যাত্রীর লাগেজ ও শরীর স্ক্যানিং করা হয়। তখন অভ্যন্তরীণ যাত্রী হলে বিমানে ওঠার অনুমতি পান। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রী হলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের চেকিং কাউন্টার থেকে বোডিং পাশ সংগ্রহ করে যাত্রী ইমিগ্রেশনে যান। তখন যাত্রীর আবার শরীর তল্লাসি ও স্ক্যানিং করা হয় অর্থাৎ কেবিন লাগেজ স্ক্যানিং করা হয়। এরপর যাত্রী তল্লাসি শেষে বোডিং ব্রিজ দিয়ে বিমানে যেতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে যেকোনো যাত্রী শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন চেকিং করে থাকে। তবে বাংলাদেশে নিরাপত্তার অজুহাতে যেখানে পদে পদে চেকিং করা হয় সেখানে বিদেশের বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের সাথে দশনার্থীরা ইমিগ্রেশন পযর্ন্ত যেতে পারেন। সেখানে বাংলাদেশে বিমানবন্দরের ভিতরে যাত্রী ছাড়া প্রবেশই নিষেধ।

উল্লেখ্য, গত রোববারের বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিরেক্টর এপস নূরে আলম সিদ্দিকী রাতে সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিমান মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করবে। আমরা এখন শাহজালালের সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ পযর্বেক্ষণ করছি। পরবর্তীতে কী করা হবে, আর কাদের গাফিলতা ছিল সেটা বিমান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

বিমান ছিনতাই শাহজালাল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর