Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সুইসাইড নোটে’ মমতাকে দায়ী সাবেক আইপিএস সদস্যের


২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৩৯

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

কলকাতার সাবেক এক আইপিএস সদস্য নিজের সুইসাইড নোটে তার আত্মহননের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। কয়েকদিন আগে আত্মহত্যা করেছেন ওই আইপিএসকর্মী। তার মৃত্যুর ঘটনায় মমতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এক বিজেপি নেতা। খবর দ্য এনডিটিভির।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গৌরব দত্ত নামের এক আইপিএস সদস্য কয়েক দিন আগে কলকাতার বিধাননগরে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত একটি সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, অবসরকালীন বকেয়া মিটিয়ে না দিয়ে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন মমতা।

এ ঘটনা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগ দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে নতুন শোরগোল শুরু হয়েছে। জানানো হয়েছে মমতাকে গ্রেফতারের দাবিও।

মমতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা মুকুল রায় বলেন, বাংলায় এই প্রথম একজন (প্রাক্তন) আইপিএস অফিসার নিজের মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী বা দলের নেতাকে দায়ী করলেন।

ইতিমধ্যে সুইসাইড নোটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে অর্থ বাকি রাখা ছাড়া আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গৌরবকে বাধ্যতামূলকভাবে অপেক্ষমাণ (কম্পালসারি ওয়েইটিং) রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন কম্পালসারি ওয়েইটিংয়ে থাকার পর ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার গৌরব গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেন। তখন থেকেই তার ভাতা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেন গৌরব।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলা হয়নি। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গৌরব যে সমস্ত বকেয়ার কথা জানিয়েছেন তার কোনোটাই তার প্রাপ্য নয় কারণ তিনি কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, নয় বছর আগে ২০১০ সালে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার হন গৌরব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী।

ওই কনস্টেবলের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, গৌরবের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় তার স্বামীকে মারধর করেছিলেন তিনি। ওই ঘটনার পর নয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে প্রত্যাহার হন তিনি।

পরবর্তীতে ২০১২ সালে আবার গৌরবকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেবার তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

সারাবাংলা/ আরএ

আইপিএস অফিসার মমতা বন্দোপাধ্যায় সুইসাইড নোট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর