‘মিঠা পানির বহু প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:১৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সংসদ ভবন থেকে: মিঠা পানির বহু প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। এসময় তিনি মিঠা পানির এই সমস্ত মাছকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এই তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিঠা পানির মাছকে রক্ষা করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাতে মৎস্য অধিদপ্তর কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। এরমধ্যে আছে বাণিজ্যিকভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছের একক ও মিশ্র চাষের সম্প্রসারণ, কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন, প্রচলিত স্বল্পমেয়াদী রাজস্বভিত্তিক ইজারা প্রথার স্থলে জলাশয়ে পোনা উৎপাদন ও প্রচলিত স্বল্পমেয়াদী রাজস্বভিত্তিক ইজারা প্রথার স্থলে জলাশয়ে পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞানসম্মত উৎপাদনভিত্তিক জৈব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, মুক্ত জলাশয়ে বিগত পাঁচ বছরে ৫৩৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫০০ মেট্রিকটন পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪। এই মাছ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণার মাধ্যমে ইতিমধ্যে- বাটা, সরপুঁটি, ভাঙ্গনা, কালিবাউশ, গনিয়া, মহাশোল, পাবদা, গুলশা, শিং মাগুর, ভেদা, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, কুচিয়া, ট্যাংরা ও গুতুম এর মতন ১৮ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। তাছাড়া শাল-বাইম, বৈরালী ও গজার মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা করা হচ্ছে। এসব গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল দেশীর প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসবি
