উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টা: সন্ত্রাস-বিমান নিরাপত্তাবিরোধী আইনে মামলা
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:১৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করতে গিয়ে কমান্ডো অভিযানে নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও বিমান নিরাপত্তা বিরোধী অপরাধ দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের প্রযুক্তি সহকারি দেবব্রত সরকার বাদি হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর- ১৫।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় নিহত ব্যক্তির নাম পলাশ আহমেদ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সিমলাকে একবার বাড়িতে এনেছিল পলাশ’
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা এবং বিমান নিরাপত্তা বিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭ এর ১১ (২) ও ১৩ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ (বোয়িং-৭৩৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাবার কথা ছিল। বিকেলে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। এসময় দু’জন কেবিন ক্রুকে জিম্মি করে রাখার কথাও বলা হয়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন পাইলট-যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে নেওয়া হয়। শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনার মধ্যে সন্ধ্যার দিকে মাত্র আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে ছিনতাই কাণ্ডের অবসান ঘটে। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, অভিযানে ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে- লাশের নাভির উপরে ডানপাশে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন আছে। এছাড়া শরীরে আর কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
৪ মাস আগে তালাক দিয়েছি পলাশকে, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সিমলা
এদিকে অভিযানের পর জানানো হয়েছিল, বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী যুবকের নাম মাহাদি। বয়স ২৬-২৭ বছর। তবে সোমবার র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই যুবকের নাম মো. পলাশ আহমেদ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে পলাশ।
অভিভাবক বা স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করলে যাচাইবাছাই সাপেক্ষে সেটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি উৎপল বড়ুয়া।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন