কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য আদেশে দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে পরবর্তী এ মামলার চার্জ শুনানি আগামী ১৩ মার্চ দিন ঠিক করেন।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হেলাল উদ্দিন।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন। জড়িত থাকা আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও