মধ্যরাত থেকে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, প্রধান সড়কে শিথিল
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:০৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে গতরাত ১২টা থেকে ১ মার্চ সকাল ৬ টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আওতাধীন সংশ্লিষ্ট এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বাইরে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মহাসড়ক ও প্রধান রাস্তা সংযোগ সড়ক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক বিভাগের গাড়ি এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাস, ট্রাক, টেম্পো, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা, ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহনের চলাচল করবে না।
এছাড়াও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুই সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আলাদা দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকার সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই সিটি করপোরেশন এলাকায় যদি ওই তারিখে কোনো পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ওই পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীরা সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
এ ব্যাপারে ইসির যুগ্মসচিব ও ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম সারাবাংলাকে বলেন, বুধবার মধ্যরাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত মটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে নগরীর প্রধান সড়কে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। যেমন কেউ মতিঝিল থেকে বিমান বন্দরে যেতে চাইলে প্রধান সড়ক ব্যবহার করে জরুরি প্রয়োজনে সেখানে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । নির্বাচনের আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক লন্ডনে মারা যান। এতে করে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে দুই সিটিতে ২০১৭ সালে ১৮টি করে ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর গত ২২ জানুয়ারি দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করে ইসি । ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি মেয়র ও দুই সিটির ১৮ টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সারাবাংলা/জিএস/এসএমএন