Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ময়ূরপঙ্খী’ ফের উড়ল আকাশে


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৬

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুষ্কৃতিকারীর কবলে পড়ার চারদিনের মধ্যেই সচল হয়ে উড়াল দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খী’। উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেছে।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২২ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

বিষয়টি সারাবাংলাকে জানিয়েছেন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সরওয়ার ই আলম।

উড্ডয়নের আগে বুধবার উড়োজাহাজটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে দায়িত্বরত বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব প্রকৌশল টিমের মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছে। বিমানের ভেতরে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এরপরও চলাচলের উপযোগী করে বিমানটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

উড্ডয়নের আগে উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়ার অনুমতি নেওয়া হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ( বোয়িং-৭৩৭) ময়ূরপঙ্খী ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে উড্ডয়নের পর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন পাইলট-যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে নেওয়া হয়। শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনার মধ্যে সন্ধ্যার দিকে মাত্র ৮ মিনিটের কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইকারী নিহতের মধ্য দিয়ে ছিনতাই কাণ্ডের অবসান ঘটে।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় বেবিচক’র শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০১২-এর ৬ ধারা এবং বিমান নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭-এর ১১ (২) ও ১৩ (২) ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় নিহত যুবক পলাশ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর পলাশ দু’টি পটকার বিস্ফোরণ ঘটায়।

২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার আলামত হিসেবে উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী জব্দ করে বেবিচকের জিম্মায় দেন।

এছাড়া ‘খেলনা পিস্তল’ ও বিস্ফোরকসদৃশ বস্তুসহ ১৫ ধরনের আলামত র‌্যাব ও অভিযান পরিচালনাকারী সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো টিমের পক্ষ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/আরডি/একে

উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর