গণপরিবহন নেই, ফাঁকা ঢাকার সড়ক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৩১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সীমিত করা হয়েছে নগরীর যানবাবহন চলাচল। এতে ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাজধানীর সড়কগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডসহ চলছে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন। সেই সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে চলছে কাউন্সিলর পদের নির্বাচন।
এ নির্বাচনের কারণে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান সড়কেও বাস, ট্রাক ও নিবার্চনি কাজে ব্যবহৃত ছাড়া সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
সকাল থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, মানিকনগর, সায়েদাবাগ, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কোথাও যানবাহন চলাচল করছে না। নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় স্কুল-কলেজসহ সকল সরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে সড়কে নেই অফিসগামী মানুষের ভিড়।
তবে যারা বিভিন্ন জরুরি কাজে বেরিয়েছেন তারা পড়েছেন বিপদে। রিকশা কিংবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে তাদের। তবে নির্বাচনের স্বার্থে সাময়িক এই সমস্যা মেনে নিয়েছেন বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন কয়েকজন ঢাকাবাসী।
রামপুরার বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন ঝিগাতলা যাবেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে কোনো পরিবহন না পেয়ে ২৫ টাকা বাস ভাড়ার বদলে ৩০০ টাকা দিয়ে রিকশায় যাচ্ছেন। সারাবাংলার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কি আর করা। নির্বাচনের কারণে বাস নেই। তাই বাড়তি টাকা দিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছি। এটা তো অবশ্যই কষ্টের। কিন্তু কিছু বলার নেই, কারণ নির্বাচনের কারণেই তো এটা হয়।’
মালিবাগের বাসিন্দা নুরুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘যাবো নতুন বাজার। কিন্তু বাস নাই। রিকশা ১০০ টাকার নিচে যাবেই না। অথচ বাসে ১০ টাকার ভাড়া। তাই পায়ে হেঁটে যাচ্ছি। শুনছি মেইন রাস্তার গাড়ি চলবে। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি গাড়ি নাই।’
এ বিষয়ে সায়েদাবাদ বাস মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক গোলাম সামদানী বলেন, নির্বাচনের কারণে ঢাকা শহরের ভেতরের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দূর পাল্লার পরিবহন চলাচল করবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা রুটে পরিবহন ছাড়বে বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদেরকে ট্রাফিক উত্তর থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে মহাখালী বাস ছেড়ে যাওয়ার পর আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যাত্রী ওঠা-নামা করা হবে না। যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়।’
বাংলাদেশ গণপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি জানান, ঢাকা শহরের যেখানে যেখানে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে সেখানে কোনো পরিবহন চলবে না। অর্থাৎ আবদুল্যাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত এবং যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলী পর্যন্ত কোনো পরিবহন চলবে না। প্রথমে শুনছিলাম মূল সড়কে চালানো যাবে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাও নিষেধ করা হয়েছে।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনও কোনও সড়কে কিছু গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন