Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাক-ভারত যুদ্ধাবস্থা: আলোচনার কেন্দ্রে অভিনন্দন বর্তমান


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৪৬

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। গত বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি পাকিস্তান সেনাবহিনীর হাতে বন্দি হন। তার আটকের খবরে একদিকে যেমন উল্লাস প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। অন্যদিকে তাদের একজন পাইলট আটক হওয়ার খবরে দুশ্চিন্তায় ভারতীয় বিমানবাহিনী।

পাকিস্তানের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে তারা ভারতের দুটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করার পাশাপাশি অভিনন্দন বর্তমান নামে একজন পাইলটকেও আটক করেছে। বিমানদুটি ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছিল। বুধবার দুটি বিমানকে ভূপাতিত করা হলেও একটি পড়ে ভারতীয় অংশে এবং অন্যটি পড়ে পাকিস্তানে। সেখান থেকে একজন বৈমানিককেও আটক করা হয়েছে।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের ভিমবার জেলার হরান গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক নামে এক নাগরিকের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন অনলাইন জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে দুটি যুদ্ধবিমানের লড়াইয়ের শব্দ শোনেন তিনি। ধোঁয়াও দেখতে পান। এরপর বিমান দুটিতে আগুন লেগে যায়। একটি বিমান নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে এগিয়ে গেলেও আরেকটিতে আগুন লেগে দ্রুত নিচে নামতে থাকে। এরপর তার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় তিনি প্যারাস্যুট নিয়ে একজনকে নামতে দেখেন। বিমানটি যেদিকে বিধ্বস্ত হয় তার উল্টো দিকে ওই প্যারাসুটে নামেন এক বৈমানিক। পরে তিনি দ্রুত একটি পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি কিছু কাগজ গিলে ফেলার ও কিছু কাগজ পানিতে ভিজিয়ে নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা চালান। ওই পাইলট প্যারাসুটে নামার সময় নিরাপদ ও সুস্থ ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর ওই বৈমানিককে ধরার জন্য স্থানীয় তরুণেরা ছুটে যান। তারা অভিনন্দনকে ধরে ফেললেও সেনাবাহিনী না আসা পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানের আশেপাশে থেকে দূরে থাকে তারা। পরে সেনাবাহিনী এসে তার দায়িত্ব নেয়।

পাকিস্তানের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মিগ ২১ থেকে ‘ইজেক্ট’ হওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় দৃঢ়তার সঙ্গে এই অফিসার জেনেভা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে সার্ভিস নম্বর ও পদমর্যাদা ছাড়া আর কিছু বলতে চাননি।

অভিনন্দনের বাবা প্রাক্তন এয়ার মার্শাল সিম্হাকুট্টি বর্তমান। এই সিম্হাকুট্টিই মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানকে উন্নত করে কার্গিল যুদ্ধে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন। তার ছেলেই অভিনন্দন। ২০০৪ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন অভিনন্দন। উইং কমান্ডার অভিনন্দন চেন্নাইয়ের জলবায়ু বিহারের বাসিন্দা। কাঞ্চিপুরমের তিরুপানামুর গ্রামে তার আদি বাড়ি। ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অভিনন্দন।

পাক হেফাজতে থাকা অভিনন্দনের ‘দ্রুত ও নিরাপদ মুক্তি’র জন্য ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে সাউথ ব্লক। একই সঙ্গে জেনেভা চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে অভিনন্দনকে নির্যাতন করা নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে পাকিস্তানকে।

একটি ভিডিওতে চোখ বাঁধা রক্তাক্ত অভিনন্দনকে দেখার পরই ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঝড়, প্রত্যেকেই প্রার্থনা করছেন তার জন্য। দ্রুত ওই অফিসারকে ভারতে ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনন্দনের বাবা বায়ুসেনার প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এস বর্তমান ছেলের রক্তাক্ত চেহারা টেলিভিশনে না দেখানোর আবেদন করেন বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআই

পাক-ভারত পাকিস্তান

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর