।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
বিদ্যমান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থা পর্যালোচনা করতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিশেষ যৌথ-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের অংশগ্রহণে এই অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ভারতের হামলার জবাবে আমরা শুধু আমাদের সামর্থ্য ও ইচ্ছাই দেখাতে চেয়েছি। আমরা ভারতের ওপর আঘাত হানতে চাইনি, ক্ষয়ক্ষতি চাইনি। শুধু দায়িত্বশীল আচরণ করতে চেয়েছি। খবর দ্য ডনের।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে ইমরান খান ভারতের বিমান হামলার পর পাকিস্তানের কৌশল নিয়েও আলোচনা করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর সেনাপ্রধান ওমর জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে আলোচনা করি। আমরা সরাসরি পাল্টা হামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা আমাদের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পায়নি। পাকিস্তানের অনেকেই এতে অখুশি হলেও, পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেত।
ইমরান খান আরও বলেন, এখন যা হচ্ছে তাতে ভারতে আসন্ন নির্বাচনের প্রভাব রয়েছে। তাই ভারতের সঙ্গে নতুন কোন আলোচনার জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারত ‘কিছু একটা’ করে ফেলবে, এমন ভয় পাননি বলেও বক্তৃতায় দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছেন জানিয়ে ইমরান খান বলেন, এমন যুদ্ধাবস্থায় ভারত বা পাকিস্তান কারোরই কোন স্বার্থ নেই। তবে নয়া দিল্লি ‘অ্যাকশনে’ যাবার সিদ্ধান্ত নিলে পাকিস্তান সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের প্রশংসা করে ইমরান খান বলেন, তারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। বিপরীতে ভারতের গণমাধ্যমগুলো যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দেশের এমন উদ্বেগের সময়ে পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলো পাশে থেকেছে বলে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইমরান খান। যেকোনো যুদ্ধকে ‘নীতি নির্ধারণে ব্যর্থতা’ উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার কথাও জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/এনএইচ