Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্ষায় কোথায় ক্লাস করবে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা?


৩ মার্চ ২০১৯ ০৮:১১

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

সাতক্ষীরা: বিদ্যালয়ের মূল ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এজন্য লেখাপড়া তো আর থেমে থাকতে পারে না। তাই বিদ্যালয় চত্বরে খোলা আকাশের নিচেই চলছে পাঠদান। তবে শীত বা বর্ষায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৫৭নং জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে এই সমস্যা। এই কারণে বিদ্যালয়ের ৪৯০জন শিক্ষার্থী নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কখনও খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টিনের ছাউনি আর ইটের দেয়ালে তৈরি কক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে নির্মিত ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন। তবে ২০১৬ সালে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে দাপ্তরিক কার্যক্রম আর অন্যটিকে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ফলে, হিসাব অনুযায়ী বিদ্যালয়টির এখন একটি মাত্র শ্রেণিকক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা খাতুন জানান, ৪৯০জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমশিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল। তিনি বলেন, ‘এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে ওদের নিয়ে কোথায় যাব আমরা তাই ভাবছি।’

বিজ্ঞাপন

কথা হয় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিজয় ও মুনতাসীরের সঙ্গে। দুজনেই জানালো, বাইরে ক্লাশ করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় তাদের মন বসে না।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জি.এম রাজগুল বাহার জানান, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়টির অবস্থা আমি জানি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা হয় না। না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই।’

তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/এসএমএন/এসবি

বর্ষা সাতক্ষীরা

বিজ্ঞাপন

মানুষের হিংস্রতা কেন বাড়ছে?
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১

আরো

সম্পর্কিত খবর