Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে‘


৩ মার্চ ২০১৯ ১৫:১৪

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

রাজশাহী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের সম্পদ বলে উল্লেখ করে তাদের যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সবসময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক। তাই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ ও মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে। পবিত্র সংবিধান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে।’

রোববার (৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী সেনানিবাসে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বীর রেজিমেন্টের চারটি ব্যাটালিয়নকে বীরের জাতীয় পতাকা দেন ও প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পতাকা হলো জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সব সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়।’

একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর আওতায় সেনাবাহিনীতে নতুন নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে। দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরও সুসংহত করতে সংযোজিত হয়েছে এমএলআরএস ও মিসাইল রেজিমেন্ট। অত্যাধুনিক বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, হেলিকপ্টার, আর্টিলারি গান ও মর্ডান ইনফ্যান্ট্রি গেজেট সংযোজন করে সেনাবাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রেজিমেন্টের সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো। এই সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় ৭, ৮, ৯ ও ১০ বীরকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন এবং কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেলেন, তার মর্যাদা রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন।’

অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর অগে বেলা সাড়ে ১১টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সেনানিবাসে পৌঁছান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে আসেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদেরসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএমএন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর