নিজ দেশ হল্যান্ডে ফিরতে চান আইএস বধূর স্বামী
৩ মার্চ ২০১৯ ১৪:৫২
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়া শামীমা বেগমের স্বামী ইয়াগো রেডজিক জানিয়েছেন, তাদেরকে তার নিজ দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরতে দেওয়া হোক। এর আগে, সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগ দেওয়ায় ব্রিটেন শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে। খবর বিবিসির।
২০১৫ সালে চরমপন্থী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শামীমা বেগম সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেন। সেখানেই রেডজিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রেডজিকের বয়স ছিলেন তখন ২৩ বছরের যুবক আর শামীমার ১৫ বছরের কিশোরী।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়াগো রেডজিক বলেন, আমি আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন আমি স্ত্রী ও পুত্র সন্তান জারাহকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন জোটের হামলায় আইএস তাদের দখলদারিত্ব হারিয়েছে। রেডিজিক এখন কুর্দিদের কব্জায়, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্দিখানায় আটক। অপরদিকে শামীমা তার সন্তানকে নিয়ে রয়েছেন উত্তর সিরিয়ার আল-হাওয়াল রিফিউজি ক্যাম্পে।
রেডজিকের নাগরিকত্ব ডাচ কর্তৃপক্ষ বাতিল না করলেও, দেশে ফিরলে তাকে ছয় বছরের জেল খাটতে হতে পারে। তবে জঙ্গিদের হয়ে কাজ করলেও বেশ কয়েকবার সংগঠনটি ছাড়ার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান রেডজিক। তিনি বলেন, অত অল্প বয়সে শামীমার ইচ্ছাতেই তাদের বিয়ে হয়।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আইনে কাউকে নাগরিকত্বহীন করা যায় না। শামীমার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করার আগে ব্রিটেন জানায়, শামীমার মা বাংলাদেশি। তাই শামীমা বাংলাদেশের নাগরিকত্বের যোগ্য। তবে বাংলাদেশ সরকার শামীমাকে সেই সুযোগ দেবে না বলে জানায় দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।
সারাবাংলা/এনএইচ