খালাস চেয়ে সাত খুন মামলার চার আসামির আপিল
৩ মার্চ ২০১৯ ২০:২৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেছেন। রোববার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে আইনজীবীরা আপিল আবেদন করেন। আপিলের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নুর হোসেনের আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান আকন্দ।
সাত খুন মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। হাইকোর্টের ওয়েব সাইটে দুই মামলায় ১ হাজার ৫৬৪ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশিত হয়।
কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনাযক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন, সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ অরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন।
এছাড়া বিচারিক আদালতের বিভিন্ন মেয়াদে ৯জনের সাজাও বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এরআগে, ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়জনের লাশ। পরদিন মেলে আরও একটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম,লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমএনএইচ