লাগামহীন বিজ্ঞাপন ও অব্যবস্থাপনার অবসান দরকার: সুবর্ণা মোস্তফা
৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:৪৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সংসদ ভবন থেকে: আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা বলেছেন, লাগামহীন বিজ্ঞাপন ও অব্যবস্থাপনার অবসান দরকার। আমাদের এতো টেলিভিশন চ্যানেল কিন্তু ডিজিটাল বিতরণের অভাবে দেশীয় চ্যানেল দর্শক হারাচ্ছে।
রোববার (৩ মার্চ ) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সুবর্ণা মোস্তফা এসব কথা বলেন।
সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র এখন দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে চলছে। দেশীয় চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আনতে অতিসত্বর প্রতিটি জেলার সিনেমা হলগুলোকে সংস্কার করতে হবে। আরও বেশি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি এই দুর্দিনে চলচ্চিত্রকে আপাতত করমুক্ত করা হোক। বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে হলগুলোকে ইউটিলিটি মুক্ত করা হোক এবং প্রয়োজন মাফিক আরও কিছু প্রণোদন দেওয়া হোক। প্রয়োজনে যে সকল জায়গাতে বিদেশী চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে সেগুলোতে কর বাড়িয়ে দেওয়া হোক।
সুবর্ণা মোস্তফা বলে আমাদের সংস্কৃতি শুধু নাচ-গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই সংস্কৃতি ইতিহাস, ভাষা সাহিত্য, ঐতিহ্য, আচার আচরণকে শিক্ষা দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের সেই সংস্কৃতি যতটা না বাইরে থেকে বিপন্ন হয়েছে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি করা হয়েছে দেশের ভেতর থেকেই। ডাবিং করা বিদেশী সিরিয়াল যেন নির্দিষ্ট সময়ে এবং সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনের প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন হতে পারে তাদের রোল মডেল।
সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর সুপরিকল্পিত ভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে বিকৃত করা হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম ভুল ইতিহাস, ভুল তথ্য, ভুল সংস্কৃতি শিখে বেড়ে উঠেছে। এই সময়েই বিখ্যাত পল্টন ময়দান হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণস্থল বিলুপ্ত করারও আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার অনুরোধ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণস্থল আমরা স্বরূপে ফেরত চাই।
তিনি আরও বলেন, বৃক্ষ নিধন আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সেই সভাস্থল পূর্বরুপে ফেরত পেতে কিছু গাছ তো আমাদের কাটতেই হবে। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি গাছের জন্য আমরা ১০০ টি করে চারা রোপণ করতে পাড়ি। সেই মঞ্চটি নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হোক। বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত ভাষণ প্রতিদিন যখন ঘড়ির কাটা ২ টা ৪৫ এ পৌঁছাবে তখন ১৮ মিনিটের সেই কালজয়ী ভাষণ শোনা যাবে সেই কালজয়ী চত্বরে। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ইতিহাসে ফিরে যাব।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসবি
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতির ভাষণ সংসদ ভবন