ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু
৪ মার্চ ২০১৯ ১৫:৩৬
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
আগামী ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন ডাকসুর বিভিন্ন প্যানেল থেকে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করে অধিকাংশ প্যানেলই তাদের প্রচার শুরু করে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এখনও নির্বাচনি প্রচার শুরু করেনি। প্রচারের পরিবর্তে তারা গণসংযোগ করছে।
এদিন সরেজমিনে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাম ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের নির্বাচনের প্রচার চালাতে দেখা গেছে। ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন এবং নির্বাচনে জয়ী হলে কি কি কাজ করবেন সেই ওয়াদা করছেন।
ছাত্রলীগের প্রচার চালিয়েছেন ভিপি পদপ্রার্থী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন , জিএসপ্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, এজিএস প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ টিএসসিসহ আশেপাশে তারা প্রচার চালান।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি পদপ্রার্থী নুরুল হক নুর, জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খান প্রচার শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসের কলাভবন সংলগ্ন চত্বর থেকে তারা প্রচার শুরু করেন।
প্রচারের বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রচার শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়নি। তবে জাতীয় নির্বাচনে প্রথম দিকে বিরোধীমতের প্রার্থীদের সুযোগ দিলেও পরে আর দেয়া হয়নি। আমরা আশা করছি এটা জাতীয় নির্বাচনের মতো হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের সমান প্রচার সুযোগ নিশ্চিত করবে বলে বিশ্বাস করছি।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ভিপি পদপ্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, স্বতন্ত্র প্যানেলের জিএসপ্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজীরও ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রচার শুরু করেছেন। লিটন নন্দী বেলা বারোটায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে পুষ্পাস্তবক অর্পণের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন। লিটন নন্দী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করছি।
প্রচার শুরু না করার বিষয়ে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে অংশ নেওয়া জিএস পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক সারাবাংলাকে বলেন, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব প্যানেলের প্রার্থীদের সঙ্গে বসেছিলেন। আমরা ক্যাম্পাসে না থাকার কারণে আসতে দেরি হয়েছে। কিন্তু সাড়ে ১১টায় এসে দেখি প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেছে। এই কারণে অধিকাংশ নেতাকর্মীর মন ভেঙ্গে গেছে। আমরা আপতত গণসংযোগ চালাচ্ছি। আগামীকাল থেকে আমরা প্রচার শুরু করতে পারি।
সারাবাংলা/কেকে/এনএইচ