Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সাইবার সিকিউরিটিতে অনেক বেশি সচেতনতা দরকার’


২০ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৪৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : গত কয়েক বছরে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বেশ কিছু সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।  আর এ হামলা মোকাবিলায় যত দ্রুত সতর্ক হওয়া দরকার সেই সচেতনতা এখনও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ড রিভ অ্যান্টিভাইরাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সঞ্জিত চ্যাটার্জি।

ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন সারাবাংলায়

 বাংলাদেশে তৈরি অ্যান্টিভাইরাস প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অনেক প্রতিষ্ঠান দেখতে পাই যারা সাইবার সিকিউরিটিতে অনেক বেশি সচেতন এবং এর পেছনে ভালো বিনিয়োগ করছেন।  অন্যদিকে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও অনেক বেশি যারা কোনো অ্যান্টিভাইরাসই ব্যবহার করছে না কিংবা ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসকেই নিরাপদ মনে করছেন। 

অন্যদিকে বাংলাদেশে ‘ফিশিং লিংক’ প্রতিনিয়ত ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে।  যার কারণে অনেক বেশি সাইবার হামলার ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।  শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে রিভ অ্যান্টিভাইরাসের নিজস্ব কার্যালয়ে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় সঞ্জিত চ্যাটার্জি এসব কথা বলেন।

রিভ অ্যান্টিভাইরাসের সিইও জানান, ব্যবহারকারীরা এখনও স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা সচেতন নন।  কিন্তু ফোনের মাধ্যমে তথ্য চুরি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।  একমাত্র রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীরা প্রতিটি কম্পিউটার লাইসেন্সের সঙ্গে একটি করে মোবাইল সিকিউরিটি ফ্রি দিচ্ছে।  এতে শুধু ভাইরাস থেকে নয়, ফোন চুরি কিংবা হারিয়ে গেলেও রিভ মোবাইল সিকিউরিটির মাধ্যমে তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশি সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ড রিভ অ্যান্টিভাইরাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সঞ্জিত চ্যাটার্জি।  ছবি : সারাবাংলা

সঞ্জিত চ্যাটার্জি জানান, বাংলাদেশে তৈরি সফটওয়্যার রিভ এন্টিভাইরাস বাজারে এসেছে দেড় বছর হলো।  এর মধ্যে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ও বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার–এর মতো বড় প্রতিষ্ঠান দেশীয় এ অ্যান্টিভাইরাসটির ব্যবহার করছে।  এছাড়া আয়ারল্যান্ডের পুলিশ বিভাগও তাদের কম্পিউটারের নিরাপত্তায় বাংলাদেশে তৈরি এ অ্যান্টিভাইরাসটি ব্যবহার করছে।

দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে এই অ্যান্টিভাইরাসটি ভারতে এবং নেপালে রপ্তানি হচ্ছে।  এছাড়াও  প্রতিনিয়ত ব্যবহারকারী বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও।

কেন অন্য সব অ্যান্টিভাইরাস থেকে রিভ আলাদা, সারাবাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে সঞ্জিত চ্যাটার্জি বলেন, ‘উপমহাদেশের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি প্রধান সমস্যা হলো অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যাওয়া।  কিন্তু রিভ অ্যান্টিভাইরাসের টার্বো স্ক্যান টেকনোলোজি কম্পিউটার স্লো না করেই অনেক বেশি ভাইরাস ও ম্যালওয়ার প্রতিরোধে কার্যকর।  এছাড়া অ্যান্টিভাইরাসটির অ্যাডভান্সড প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচারের মাধ্যমে বাবা-মা’রা তাদের সন্তানের অনলাইন কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে পারবেন এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন সঞ্জিত।

সঞ্জিত চ্যাটার্জি জানান, ১৭ তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।  এতে সিকিউরিটি ক্যাটাগরিতে ফার্স্ট মেরিট অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় বাংলাদেশি এই সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ড। এর আগে রিভ অ্যান্টিভাইরাস পেয়েছে ভাইরাস বুলেটিন এবং অপসওয়াট স্বীকৃতি।  মাইক্রোসফট ভাইরাস ইনফরমেশন অ্যালায়েন্সেরও সদস্য রিভ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর