গৃহবধূর আত্মহত্যা, বিবাদীদের নিষ্ক্রিতায় রিট
৪ মার্চ ২০১৯ ১৮:২৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করা হয়েছে। এতে বিবাদী করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, সুবর্ণচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে।
সোমবার (৪ মার্চ) হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মুনতাসির মাহমুদ রহমান।
রিটে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ইউপি সদস্যের তথাকথিত সালিশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
মুনতাসির মাহমুদ রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।
গত ৩ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সুবর্ণচরে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, “নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এবার ধর্ষণের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমাকছুমুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।”
সংবাদে স্থানীয়দের বরাতে জানানো হয়, “শুক্রবার রাতে মাকছুমুল গ্রামের বসত ঘরে ঢুকে গৃহবধূ পলি আক্তারকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আলাউদ্দিন। গৃহবধূর চিৎকারে তার স্বামীসহ স্থানীয় লোকজন এসে আলাউদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ধর্ষক আলাউদ্দিনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। বখাটে আলাউদ্দিন একই গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে।”
“এদিকে ধর্ষণের সঠিক বিচার না পেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে শনিবার সকাল ৮টার দিকে বিষ পান করেন গৃহবধূ পলি। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন”- উল্লেখ করা হয় সংবাদে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি