রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার সাক্ষী অসুস্থ হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
৬ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (০৬ মার্চ) মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু এদিন সাক্ষী অসুস্থ হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন করে দিন ঠিক করেন।
স্বাক্ষীর অসুস্থতার বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন ভিকটিমের পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ ।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটির ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে জেরা করা হয়েছিল। ওই দিন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের জামিন বাতিল করেন আদালত। একইসঙ্গে সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের জামিন না মঞ্জুর করা হয়। এর আগে, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। এছাড়া, বিভিন্ন সময় ধর্ষণের সহযোগী আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরে ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদি এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদি ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। বাদিকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার সময় আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান। ভুক্তভোগীরা ভয়ে মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদি। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। ওই দুই ছাত্রী সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডে রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যায়।
সারাবাংলা/এআই/এনএইচ