সাড়ে ৫ মাস পর মুক্ত শামসুল, থাকবেন ‘নজরদারিতে’
৬ মার্চ ২০১৯ ১৫:১২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নাশকতার আট মামলায় সাড়ে পাঁচ মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলাম। তবে চট্টগ্রামের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হিসেবে খ্যাত শামসুলকে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, সব মামলায় জামিন আদেশ আসার পর মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আ ন ম শামসুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলায় ওয়ারেন্ট আছে কি না তা যাচাই করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শামসুল ইসলামকে স্বাগত জানাতে কারাফটকে নগর জামায়াতের ৫ জন নেতা এসেছিলেন। তারা শামসুল ইসলামকে নিয়ে একটি প্রাইভেট কারে করে চকবাজারের দিকে চলে যেতে দেখেছেন।
পাঁচটি নাশকতার মামলায় ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নগর পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন, শামসুলের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিল থানা, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ও লোহাগাড়া থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। এছাড়া জেলার সাতকানিয়া থানায় ৩টি ও হাটহাজারী থানায় ২টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশ ছিল, শামসুল ইসলামকে যেন ফের গ্রেফতার বা অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না দেখানো হয়। কিন্তু শামসুল ইসলাম যেহেতু অতীতে নাশকতা বা সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন, তার বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজরদারি থাকবে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির আরেক নিয়ন্ত্রক সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী জামিনে মুক্তি পান। শামসুল চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির ও শাহজাহান সাবেক নায়েবে আমির।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহজাহান চৌধুরী। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী জরুরি অবস্থায় দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হন তিনি। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে শাহজাহান চৌধুরী মনোনয়ন পাননি। সেই নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শামসুল ইসলাম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে নিবন্ধনবিহীন জামায়াতের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন শামসুল ইসলাম। একই আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি শাহজাহান।
সারাবাংলা/আরডি/এটি