পাট দিয়েই পৃথিবী জয় করব: গোলাম দস্তগীর গাজী
৬ মার্চ ২০১৯ ১৫:৩৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পাটের সোনালি দিন ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একদিন পাটের স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে। এই পাট দিয়েই আমরা পৃথিবী জয় করবো।’ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি দুই দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্যের মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, জাতির পিতার বাংলাদেশ’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে তৃতীয়বারের মতো পাট দিবস পালিত হচ্ছে। পাট দিবসে ১৪টি ক্যাটাগরিতে ১৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পাট খাতের উন্নয়নে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনামূলক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, ‘২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে পাটের উৎপাদন হয়েছিল ৯২ লাখ বেল এবং পাট খাত হতে রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ২৫ মার্কিন মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমান বিশ্বে পাটজাত ও পাট রফতানিতে আমরা প্রথম অধিকার স্থান করে আছি।’
পাটপণ্যের বহুমখী উৎপাদানের লক্ষ্যে বিজেএমসি পলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগ উৎপাদন শুরু থেকে পাট পাতা থেকে চাসহ নানা রকম উদ্যোগের কথা জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়িত হলে বিজেএসির স্বাবলম্বী হওয়ার পথ সুগম হবে। একইসঙ্গে পাট খাত এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: সুনাম ছড়িয়ে পাটপণ্যের বিশ্ববাজার দখলের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পাট আইন-২০১৯ এবং পাটনীতি-২০১৮ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে দেশের পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় কতিপয় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই আইনের অধীনে ১৯টি পণ্য পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই আইনের বাস্তবায়নের ফলে দেশে দেড়শো কোটি ব্যাগের বস্তা চাহিদা বাড়ানো হয়েছে। আইনটি শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন মন্তব্য করে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যার যদি ভালোবাসা না থাকতো, তাহলে পাটখাত এতদিন থাকত না। আদমজী মিল খালেদা জিয়া যেমন বন্ধ করে দিয়েছিল, পাটখাতকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালোবাসার কারণে পাট এখনো আমাদের মাঝে বেঁচে আছে।’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান।
সারাবাংলা/এনআর/এমএনএইচ