জাবিতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ডাইনিং কর্মচারীদের
৬ মার্চ ২০১৯ ১৯:০০
।। জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারীরা এ দাবি জানান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে অস্থায়ী ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হলে আমরা প্রায় ১০০ জন ডাইনিং কর্মচারী চাকরি করছি। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও আমাদের চাকরি স্থায়ী নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রায় ৩০ বছর ধরে একই পদে চাকরি করছেন। কিন্তু তারা স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত নন। ডাইনিং কর্মচারীদের বেতন মাত্র ৪ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা। এই বেতন দিয়ে কী আমাদের সংসার চলে!’
রোকেয়া বেগম নামের এক ডাইনিং কর্মচারী বলেন, ‘আমার এই দুই হাত দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রথম তালা খুলেছি। দীর্ঘ ৩৫ বছর পার হয়েছে। এখন আমি খুনখুনে বুড়ি। কিন্তু আজও আমার চাকরি স্থায়ী হয়নি। স্যারেরা আমাদের আশ্বাস দিয়ে রেখেছে। কিন্তু কিছুই করেনি। স্যারেরাই আমাগোর কপাল খাইছে। মরি আর বাঁচি রাস্তায় নামছি যখন একটা কিছু দেখেই ছাড়াবো’।
সংবাদ সম্মেলনে অস্থায়ী ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল খায়েরসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে কর্মচারী সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ করে। সেখানে উপাচার্য বরাবর দুই দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেয়। দাবি দুটি হলো- ডাইনিং কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান বাড়াতে ভর্তুকি প্রদান।
এদিকে অস্থায়ী ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতির চাকরি স্থায়ীকরণ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অপরিহার্য অঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও ডাইনিং কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা হচ্ছে না। তাঁরা ৪৮০০ টাকা বেতনে অস্থায়ীভাবে চাকরি করে, এই বেতন তাদের জন্য তামাশার নামমাত্র। অবিলম্বে আমরা অস্থায়ী ডাইনিং কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি করছি এবং আন্দোলনে তাঁদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।’
এসব বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার রহিমা কানিজ বলেন, ‘তাদের স্থায়ী করার কোন সুযোগ নেই। তবে অনেক আগের একটা সিদ্ধান্ত আছে যে, বিভিন্ন হলে স্থায়ী লোক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে তাদের বয়সের বিষয়ে শিথিল করে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। স্মারকলিপি আমার হাতে আসার পর বাকি মন্তব্য জানাতে পারবো।’
সারাবাংলা/টিআই/এনএইচ