Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চিকিৎসককে হুমকি তাদের নিরাপত্তাহীনতা প্রমাণ করে’


৬ মার্চ ২০১৯ ২২:২৩

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্রথম সারির একজন বিসিএস কর্মকর্তার সঙ্গে বিরূপ আচরণ ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি যে কোনো পেশাদারি আচরণের বিপরীত এবং অপেশাদারসুলভ মনোভাবের পরিচয় বহন করে। একইসঙ্গে এটি চাকরিবিধির লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ. ম. সেলিম রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদকে মোবাইল ফোনে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম হুমকি দেন। ধর্ষণ সংক্রান্ত এক নারীর বিষয় নিয়ে ফোন করে ডা. আব্দুল্লাহকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অথচ ঘটনার সময় উক্ত চিকিৎসক দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন না এবং ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ও মতামত দেওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এখতিয়ার বহির্ভূত যা না জানা থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে তার অজ্ঞতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ। আর এঘটনায় দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ের চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

পরে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক ডা. আ. ম. সেলিম রেজা সারাবাংলাকে বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির ক্যাডার কর্মকর্তাই যেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মিথ্যা মামলার হুমকিজনিত ভোগান্তি হতে নিরাপদ নন, সেখানে সাধারণ নাগরিক তার কতটা অনিরাপদ সেটা ভেবে দেখার বিষয়।’

বিজ্ঞাপন

দেশের মানুষের সেবার নিয়োজিত সরকারের সকল দফতরের মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় সুসর্ম্পক ও সমন্বয় যেখানে প্রয়োজন সেখানে ওই পুলিশ কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ ইচ্ছাকৃত ও দুরভিসন্ধিমূলক কি না তাও খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

আর এ ধরনের ঘটনায় কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতা আরও একবার প্রতীয়মান হলো উল্লেখ করে তারা জানিয়েছেন, এসব ঘটনা বিচারহীন থাকলে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসদের অবস্থানকে আরও অনুৎসাহিত করবে এবং তারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করবে বলে অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে।

আর এ ঘটনায় সিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে জানিয়ে বলা হয়, একজন পুলিশ সদস্যের অপরাধের দায় তার নিজস্ব এবং কারও ব্যক্তিগত অপরাধের কারণে পুরো পুলিশ বিভাগ বিতর্কিত হতে পারেন। তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে অতিদ্র্রুত প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও পুলিশবিধি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অ্যাসোসিয়েশন দাবি জানাচ্ছে।

সারাবাংলা/জেএ/একে

ওসি চিকিৎসক বিসিএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর