‘যেকোনো মুহূর্তে জনক্ষোভের প্রবল অগ্ন্যুৎপাত ঘটবে’
৭ মার্চ ২০১৯ ১৩:১০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: যেকোনো মুহূর্তে জনগণের ক্ষোভের প্রবল অগ্ন্যুৎপাত ঘটবে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) সুনামগঞ্জে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচনের আগের রাতে ভোট বাক্সে ব্যালট ভরে দেওয়া আর বরদাস্ত করা হবে না।’
শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর এমন বক্তব্য’র প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের রাতে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনের মদতে পুলিশ প্রশাসনের প্রকাশ্য সহযোগিতায় ভোটের বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এই রাতের ভোটের কথা দেশের প্রতিটি মানুষ জানে। ভোটাররা কেউ ভোট দিতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনাররা এখন রাতে ভোটের বাক্স ভর্তি করার কথা স্বীকার করেছেন।’
‘সংসদ নির্বাচনের দুই মাস ছয় দিন পর এই স্বীকারোক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিবেকের তাড়নায় তিনি এই মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন’— বলেন তিনি।
‘এবার রাতের বেলা নয়, দিনের বেলাতেই ভোট ডাকাতি হবে। এখন বিনা ভোটের নির্বাচনের হিড়িক শুরু হয়ে গেছে’— মহাজোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এখন নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারের শরীকরাও পর্যায়ক্রমে আগের রাতে ভোট ডাকাতির কথা অকপটে স্বীকার করছেন।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের সামনেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মহাভোট ডাকাতির রাজধর্ম পালন করেছে। তাহলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সময় তাদের মগজে কি কারফিউ জারি করা ছিল, যে কারণে ব্যাখ্যাতীত উন্মার্গগামিতায় জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিতে সরকারি বাহিনীগুলো রাতের আধারকে বেছে নিলেন? অথচ নির্বাচন কমিশনের কেউ টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করলেন না?’
এর জবাব একদিন জনগণকে দিতে হবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এখন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি, যেকোনো মুহূর্তে ভিসুভিয়াসের মতো জনগণের ক্ষোভের প্রবল অগ্ন্যুৎপাত ঘটাবে। তাই জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পেতে চাইলে দ্রুত নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।’
সারাবাংলা/এজেড/জেএএম