ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত ১১ মরদেহের শেষটিও হস্তান্তর
৮ মার্চ ২০১৯ ০৮:৫১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা ১১টি মরদেহের শেষটিও হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে দুলাল কর্মকারের (৪০) মরদেহটি তার ছেলে রুপলাল কর্মকার বুঝে নেন।
রুপলাল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চড়বোয়ালমারি গুচ্ছগ্রামে। দুলাল লালবাগ চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন। রিকশা চালাতেন তিনি। চুড়িহাট্টার আগুনের পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে তার মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা জমা দেন তারা।
আরও পড়ুন- চুড়িহাট্টায় দগ্ধ আরও ২ মরদেহ হস্তান্তর
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল হক ও ইব্রাহিম নামে চুড়িহাট্টায় দগ্ধ আরও দু’জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। বুধবার (৬ মার্চ) তাদের মরদেহ বুঝে নেওয়ার জন্য অবহিত করা হলেও তারা সেদিন উপস্থিত হতে পারেননি। ওই দিন (বুধবার) চুড়িহাট্টায় দগ্ধ আট জনের মরদেহ বুঝে নেন তাদের স্বজনরা।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে চকবাজারের চুড়িহাট্টার হাজী ওয়াহেদ ম্যানসনে। সেই আগুন ছড়িয়ে যায় আশপাশের কয়েকটি ভবনে। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থল থেকে ৬৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি মরদেহ এমনভাবে পুড়ে যায় যে সেগুলো শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না। সেগুলো শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে ১১টি মরদেহ শনাক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর
চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুন চুড়িহাট্টা ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত ১১ মরদেহ