Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে ৭ই মার্চের ভাষণে’


৮ মার্চ ২০১৯ ১৯:৩৬

ছবি: ফাইল

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার শক্তি জোগাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের প্রজন্মের পরের প্রজন্মকে এই ভাষণ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার শক্তি জোগাবে।

শুক্রবার (৮মার্চ) বিকেলে রাজধানীর খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ১৯৭১-এর ভাষণের ওপর এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আত্মত্যাগ ছাড়া অর্জন হয় না। সেটাও কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বারবার বলে গেছেন। কোনো কিছু যদি অর্জন করতে হয় তার জন্য আত্মত্যাগ করতে হয়। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের বহু মানুষ জীবন দিয়েছেন। লাখো মানুষের আত্মত্যাগ ও রক্তের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা ৭৫’র পর প্রায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য, আবার আমরা সেই সুযোগটা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে, মুক্তিযুদ্ধের গানগুলি বাজাতে আর সেই কথাগুলি চর্চা করতে।

তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজও আজকে এগিয়ে আসছে। যারা একসময় অন্ধকারে ছিল। ৭৫’র পর থেকে প্রায় ৯৬’সাল পর্যন্ত মূলত অন্ধকারে ছিল দেশ। কিন্তু আবার আমরা আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুধু একটি দেশ স্বাধীন নয়, ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাও জাতির পিতা বলে গেছেন। সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

৭ই মার্চের ভাষণ মানুষের কাছে বিভিন্নভাবে আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ প্রজন্মের একজন শিক্ষক এবং গবেষক তার দৃষ্টিতে কিভাবে এই ভাষণকে দেখেন বা আমাদের একজন প্রবীণ শিল্পী কিভাবে এটিকে দেখেন, বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয় করে এই ভাষণটাকে সেভাবে তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ভাষণ আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবার একটা শক্তি জোগাবে বলে বিশ্বাস করি। সবথেকে বড় কথা, ৭ই মার্চের ভাষণ ৪৮ বছর ধরে এখনো যখনই শুনি মনে হয় যেন আবার নতুনভাবে যেন শুনছি। আমার হৃদয়ে একটা আলাদা শক্তি জোগায়। একটা দেশকে ভালবাসা, দেশের জন্য কাজ করা, দেশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করবার একটা মহৎ শক্তি পাই।

এছাড়া, সেমিনারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ৭ই মার্চের ভাষণটি তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা। বঙ্গবন্ধু শুধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নয়, তিনি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা। তাই সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত-মানুষের নেতা হিসাবেও স্বীকৃতি পাবেন বলে মতামত দেন বক্তারা।

সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। বিশেষ আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান।

সারাবাংলা/এনআর/এনএইচ

৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর