Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তর কোরিয়ার নির্বাচন: ব্যালট পেপারে থাকে একজন প্রার্থীর নাম


১০ মার্চ ২০১৯ ১৩:৩০

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন। একনায়ক কিম ক্ষমতালাভের পর এটি দেশটির পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির দ্বিতীয় প্রতিনিধি নির্বাচন। প্রতি পাঁচ বছর পর পর ৬৮৭ সদস্যের অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচন করতে দেশটিতে ভোটগ্রহণ হয়ে থাকে। তবে ব্যালটে নাম থাকে কেবল একজনেরই, ভোটারদের শুধু সুযোগ হয় তাকে সমর্থন করে ব্যালটটি বক্সে ফেলার। খবর বিবিসির।

উত্তর কোরিয়া, পার্লামেন্ট নির্বাচন, কিম জং উন,

উত্তর কোরিয়ায় ভোট দেওয়া নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক। নামে মাত্র এই নির্বাচনে ভোটের হার প্রায় শতভাগ। ১৭ বছর বয়সে উন্নীত হলে নাগরিকরা ভোট দেওয়ার জন্য উপযুক্ত হোন। তবে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অ্যাসেম্বলির অনেক সদস্যকেই কিম জং উন নিজে মনোনীত করেছিলেন। সেই নির্বাচনে শতকরা ৯৯.৯৭ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছে। এ নিয়ে একটা কৌতুক প্রচলিত আছে, ভোটের দিন উত্তর কোরিয়ায় কারো মারা যাওয়া নিষিদ্ধ, কেউ অসুস্থও হয় না।

উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ ফিয়োদর তারতেয়স্কি বলেন, ব্যালটে একটি নামই লেখা থাকে। আপনি শুধু ব্যালটটি নিয়ে বক্সে ফেলবেন। আপনি গোপনে বা প্রকাশ্যে ভোট দিতে পারবেন। তবে আড়ালে ভোট দিলে সবাই আপনাকে সন্দেহ করবে।

উত্তর কোরিয়া, পার্লামেন্ট নির্বাচন, কিম জং উন,

তারতেয়স্কি আরও বলেন, টেকনিক্যালি আপনি আরও একটি কাজ করতে পারেন। তাহলো, প্রার্থীকে পছন্দ না হলে ব্যালটে ক্রস চিহ্ন দেওয়া। তবে একাজ করলে সিক্রেট পুলিশ আপনার পিছু লাগবে। তাই এটা জেনে বুঝে কেউ করে না। ভোট দেওয়ার পর পোলিং স্টেশনের বাইরে গিয়ে আনন্দ উদযাপনও করতে হয় সবার সঙ্গে। এর অর্থ, আপনি দেশটির বিজ্ঞ নেতাকে ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্ট।

উত্তর কোরিয়া, পার্লামেন্ট নির্বাচন, কিম জং উন,

দেশ পরিচালনায় উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্টের কোন ধরনের ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তবু এটিই দেশটির একমাত্র আইন পরিষদ। এ বিষয়ে তারতেয়স্কি জানান, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো মনে করে, দেশটির অ্যাসেম্বলির খুব কম ক্ষমতা রয়েছে। তবে সত্যিকার অর্থে তাদের কোন ক্ষমতা নেই। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের ব্যবধানে সংবিধান পরিবর্তন ও সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী কিমকে ক্ষমতাচ্যুত করার নিয়ম লেখা থাকলেও তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।

অনেকেরই ধারণা উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক দল একটি। তবে মজার ব্যাপার হলো উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক দল তিনটি। কিম জং উনের ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং চন্দোয়িস্ট চং পার্টি। তবে বাকি দুটি ওয়ার্কার্স পার্টির ই অংশ।

নির্দিষ্ট দিনক্ষণ না থাকলেও নির্বাচনের কিছু দিন পরেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে নির্বাচনে প্রার্থী যখন একজনই থাকে, ফলাফল ঘোষণার আদৌ কি কোন প্রয়োজন পড়ে?

সারাবাংলা/এনএইচ

উত্তর কোরিয়া কিম জং উন পার্লামেন্ট নির্বাচন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর