সিইসির বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই: হানিফ
১০ মার্চ ২০১৯ ১৫:৫৪
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সিইসি নির্বাচনি অনিয়মের অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহার যৌক্তিক বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ারও কোনো কারণ নেই।
রোবরার (১০ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভরা বা মিডনাইট ভোট প্রসঙ্গে সিইসি’র দেওয়া একটি বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যটা সঠিকভাবে উত্থাপন হয়েছে কি না আমরা জানি না। একটা খণ্ডিত অংশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রতিটি নির্বাচনের পরেই পরাজিত দল এবং পরাজিত প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেন। তাই ইভিএম পদ্ধতি যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে কিন্তু আর ব্যালটের সংশ্লিষ্টতা থাকে না। ব্যালট নিয়ে প্রার্থী বা দলের যে অভিযোগ সেটা নিয়ে অভিযোগ করার যৌক্তিকতা থাকে না।’
থলের বিড়াল আটকে রাখতে পারলেন না সিইসি: রিজভী
নির্বাচনি প্রক্রিয়ার নানা অনিয়মের কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালীন জোরালো দাবি তুলেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এখন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা ও কিছু ক্ষেত্রে ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহার চালু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
কিছু উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অবস্থানের কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে এসব সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে হানিফ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্থানীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওখানে উপস্থিত হওয়ার কারণেই কিন্তু নির্বাচন কমিশন ওই এলাকার নির্বাচন স্থগিত করেছে। এটার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করেছে, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য তারা বদ্ধ পরিকর।’
যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া বলে বলেও জানালেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদের দ্রুত আরোগ্য লাভ করে দেশে ফিরে আসবেন এমন আশাবাদ করে হানিফ বলেন, ‘আশা করি দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে একেবারে পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থায় তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’
এসময় বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে অনীহা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘উনি যদি নিজেকে সেই পরিমাণ অসুস্থ মনে না করেন তাহলে তো চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করবেনই। আমি যদি সুস্থ মানুষ থাকি, আমাকে কেউ জোর করে চিকিৎসা দিতে চাইলে আমি কি নেবো? আমি তো অনীহা প্রকাশই করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন