একবছরে বিমানের লোকসান ২০১ কোটি টাকা
১০ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫২
।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
সংসদ ভবন থেকে: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের গত অর্থ বছরে (২০১৭-১৮) সালে বিমান থেকে আয় হয় ৪ হাজার ৯৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ১৩৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থবছরে বিমানের লোকসান ২০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
এদিন, বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিমানের আয় ৪ হাজার ৫৫১ কোটি ৫২ লাখ। ব্যয় ৪ হাজার ৫০৪ কোটি ৭৭ লাখ। অর্থ ওই অর্থ বছরে ৪৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় লাভ হয়। একইভাবে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় আয় হয়, তার বিপরীতে ব্যয় হয় ৪ হাজার ৭৩০ কোটি ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরে লাভ হয়েছে ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তার আগের অর্থ বছর অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে আয় ৪ হাজার ৬৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয় করে ব্যয় হয় ৪ হাজার ৪১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ লাভ হয়েছে ২৭৫ কোটি ৯৯ লাখ।
সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিন অর্থ বছরে লাভ হলেও গত অর্থ বছরে লোকসান করেছে বাংলাদেশ বিমান। বিমানকে লাভজনক করার লক্ষ্যে নতুন নতুন রুট গন্তব্য চিহ্নতকরণ এবং বর্তমান লাভজনক রুটে ফ্রিকুয়েন্সি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন গন্তব্য হিসেবে গুয়াংজু, মদিনা, কলম্বো, মালে ইত্যাদি রুটে অদূর ভবিষ্যতে বিমানের সার্ভিস চালু করা হবে।
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত করার লক্ষ্যে জিটুজি পর্যায়ে কানা থেকে ৩টি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম উড়োজাহাজ ২০২০ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় উড়োজাহাজ একই বছর মে মাসে এবং তৃতীয় উড়োজাহাজ ওই বছরের জুন মাসে সংগ্রহ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উড়োজাহাজ তিনটি চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, রাজশাহী, সৈয়দপুর, কক্সবাজার ও বরিশালসহ সাতটি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে এবং কোলকাতা ও ইয়াংগুন আঞ্চলিক গন্তব্যে চলাচল করবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএনএইচ