প্রশ্নের সম্মুখীন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং
১১ মার্চ ২০১৯ ১৬:১৭
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
কয়েক মাসের ব্যবধানে দুটি বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। খবর বিবিসির।
গত বছরের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় ৭৩৭ মডেলের একটি বিমান উড্ডয়নের কিছু সময় পর জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। মারা যান আরোহী ১৯০ যাত্রীর সবাই। এবার, রোববার (১০ মার্চ) ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানও বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায় ১৫৭ বিমানযাত্রী।
চীন জানিয়েছে, দুটি বিমানেরই দুর্ঘটনার ধরন একইরকম। তাই তারা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিমান বহরে বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমান সংযোজনে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। চীনে প্রায় ৯০টি, বোয়িং- ৭৩৭ মডেলের বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইথিওপিয়ায় দুর্ঘটনার আগে পাইলট, বিমানের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন বলে তথ্য দিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। ওই বৈমানিকের ৮ হাজার ঘণ্টা উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলেও বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
২০১৬ সালে আকাশে উড়া ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ বোয়িং বিমান একেবারেই নতুন। গত বছর বিমানটি ইথিওপিয়ার বিমান বহরে যুক্ত হয়। ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের তদন্তে জানা যায়, পাইলট বিমানের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না।
বোয়িং বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা ৭৩৭-এ যুক্ত করে। ‘অ্যান্টি-স্টল’ নামে প্রক্রিয়ার কারণে বিমানের সামনের অংশ কিছুটা নিচু হয়ে থাকে, বৈমানিকের চেষ্টা সত্ত্বেও। এছাড়া, উভয় বিমানই উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হওয়ায় এ নিয়ে সংশয় বেড়েছে।
মার্কিন যোগাযোগ বিভাগের পরিদর্শক ম্যারি সাভিও জানান, এটা খুবই সন্দেহজনক। এটা স্বাভাবিক নয়।
এর আগে, লায়ন এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বোয়িং নিজেই বিভিন্ন এয়ারলাইনসকে ‘এন্টি-স্টল’ প্রোগ্রামের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে। কোম্পানি চেষ্টা করছে নতুন একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে বিষয়টির সমাধান করতে।
সারাবাংলা/এনএইচ