জামায়াতের বিচারের আইন মন্ত্রিসভায় ওঠার অপেক্ষায়: আইনমন্ত্রী
১১ মার্চ ২০১৯ ২০:৪০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি আরও জানান, শিগগিরই এটা মন্ত্রিপরিষদ সভায় উত্থাপন করা হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান। ‘নির্বাচনি ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি।
বৈষম্য বিলোপ আইনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে কাজ চলছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে সংসদ একটি অধিবেশন হবে। এই আইনটি পাসের জন্যই মূলত সংক্ষিপ্ত অধিবেশনটি হবে। আশা করি, এটা (বৈষম্য বিলোপ আইন) ওই সময়ে সংসদে উপস্থাপন করতে পারবো। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।
এর আগে আইনমন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘুদের জন্য কমিশনের দাবি কেন উঠলো, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরলেন, সংবিধান দিলেন এমনকি দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন কিন্তু এ রকম কোনো কমিশনের দাবি ওঠেনি। আজ ৪৮ বছর পরে এই কমিশনের দাবি কেন? এই কমিশনের দাবি উঠেছে মূলত ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কাল রাতের পরে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর এবং তার আগে ২৬ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন চলেছে- সেই সময়ে কেউ কথা বলতে পারতো না। দ্বিতীয় বিষয় হলো, কোনো বিচার তারা পায়নি। আজকে এই পুঞ্জিভূত অপরাধগুলো এমন একটা অবস্থায় গেছে, যেখানে বিচারের হাহাকারের কারণেই আজ এই কমিশনের দাবি উঠেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি বিচার বিভাগ কিন্তু এই বিচারগুলো দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সত্যি কথা বলতেই হবে। ১৯৭৫ সালের পর ২০০৬ পর্যন্ত এই ২৬ বছর বিচার বিভাগে কেউ যেতে পারেনি বিচার চাইতে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে চলছে। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। আমাদের মানবাধিকার প্রয়োজন, আরেকটু দিতে হবে বা এসব অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। সেই কারণে কিন্তু কথাগুলো উঠে আসছে। এই কমিশনের দাবি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করবো।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সদস্য বিচারপতি শামসুল হুদা এতে সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শ্রীমৎ কান্তিবন্ধু ব্রক্ষচারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফাদার ড. তপন ডি রোজারিও, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি