ইতিহাস বিকৃতি: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সম্পাদক শুভঙ্কর
১২ মার্চ ২০১৯ ১৩:৪৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপানোয় ইতিহাস বিকৃতি’র ঘটনায় ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহা হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন।
শুনানির শুরুতেই আদালত গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহার কাছে জানতে চান এ ঘটনা কিভাবে ঘটল? তখন শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বই প্রকাশে একটি টিম দায়িত্বে ছিলেন। বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সব বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক রিলেটেড বঙ্গবন্ধুর কোন ছবি না পাওয়ায় বইযে বঙ্গবন্ধুর কোন ছবি দেওয়া হয়নি। এইজন্য আমি আদালতের কাছে পুরো টিমের পক্ষে ক্ষমা চাচ্ছি।’
তখন আদালত বলেন, ‘আইয়ুব খান, মোনায়েম খানকে বইতে হাইলাইট করলেন অথচ বঙ্গবন্ধুর একটা ছবিও পেলেন না?’
শুভঙ্কর সাহা বলেন, বইতে আইয়ুব খানকে স্বৈরাচার হিসেবেই অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে। তারপরও বঙ্গবন্ধুর ছবি না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে আবারাও নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।
তখন আদালতে রিটকারী আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন আদালতের কাছে বলেন, ‘ক্ষমা চেয়ে ইতিহাস বিকৃতির দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।’
পরে আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সংখ্যাগুলো কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যেআদালতে দাখিল করতে বলেন। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
ইতিহাস বিকৃতি’র ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সকল সংখ্যা বাজার থেকে সরিয়ে ফেলতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহাকে তলব করেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপানোর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যোবায়ের রহমান।
সারাবাংলা/এজেডকে/এসএমএন