প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে রোকেয়া হলে বিক্ষোভ
১২ মার্চ ২০১৯ ২৩:৪৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবিতে হলের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা জানান, রোকেয়া হলের ভেতরে চলা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাজী মৌসুমী ও শ্রবণা শফিক দীপ্তি।
আরও পড়ুন- ফের ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ৫ প্যানেলের অবস্থান বুধবার
বিক্ষোভের বিষয়ে রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাহমিনা সারাবাংলাকে বলেন, ভোট কারচুপির অভিযোগে আমরা হল প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই। আর তার পদত্যাগের দাবিতেই আমরা এই বিক্ষোভ করছি। রোকেয়া হলে যত ভোটার রয়েছে, তার একভাগ ভোটও কাস্ট হয়নি। আর যতটুকু ভোট কাস্ট হয়েছে, সেখানেও কারচুপি করা হয়েছে।
এদিকে, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিন্নাত হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনাটি শুনেছি। এই মুহূর্তে আমি একটি চ্যানেলে আছি। আমি ক্যাম্পাসে গিয়ে বিষয়টি দেখছি।
আরও পড়ুন- পুনঃতফসিলে ডাকসুর নতুন ভোটের দাবিতে অনশনে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী
এর আগে, সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে রোকেয়া হলের জন্য বরাদ্দ ৯টি ব্যালট বাক্সের মধ্যে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া না যাওয়ায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় একঘণ্টা দেরিতে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হলের তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ট্রাংক ভরে রাখা বিপুল পরিমাণ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং নির্ধারিত সময় দুপুর ২টার পর আরও চার ঘণ্টা ভোট নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টায় এই হলের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে ব্যালট উদ্ধারসহ ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ এনে সোমবারই হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে মেয়েদের আরেক হল বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলেও ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এই হলের ব্যালটগুলো ছিল সিল মারা। এ ঘটনায় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শবনম জাহানকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়। আর এই অনিয়মকে ঘিরে কুয়েত-মৈত্রী হলেও সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করা যায়নি। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এই হলে।
সারাবাংলা/টিএস/কেক/এসজে/টিআর