সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
১৩ মার্চ ২০১৯ ২০:২৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে উচ্চ খেলাপি ঋণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, ভবিষ্যতে এটা আর বাড়বে না বরং কমবে। এ মুহূর্তে সরকারের সবচেয়ে দুর্বলতার জায়াগা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।’ বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জনতা ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ে প্রত্যেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অডিটের ব্যবস্থা করা হবে। কাউকে বিপদে ফেলতে নয়, স্বচ্ছতার জন্যই এটি করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।’
ব্যাংকিং খাত কোনো খেলার জায়গা না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে থাকতে হলে ব্যাংকিং সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। যারা ব্যাংকিং বোঝে না এবং যারা অসৎ, তাদের বোর্ডে রাখা হবে না।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দুর্নীতিকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে। তাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যদি ব্যবসায়ীরা অপরাধ স্বীকার করে আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত দেয়, তাহলে কোনো ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠাবো না। আর যারা ভালো ব্যবসায়ী, কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা প্রতিকূলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সরকার থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’
খেলাপি ঋণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই খারাপ আমি বলবো না। সব কাজই খারাপ, সেটিও বলবো না। কিন্তু একটা খারাপের কারণে এমন ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ব্যাংকের কিছুই নেই, সব চলে গেছে। তাই ব্যাংকের কর্মকর্তা, যারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদেরও ধরা হবে। এটা করতে খুব বেশি সময়ের দরকার হবে না।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমরা উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত। বলা হয়, যদি উন্নয়ন দেখতে চাও তবে বাংলাদেশে যাও। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি চলতি অর্থবছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ থেকে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। এখন পর্যন্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশ রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালাক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/জিএস/এমএনএইচ