Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওয়াহিদ ম্যানসনের দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ


১৩ মার্চ ২০১৯ ২০:৪১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় ওয়াহিদ ম্যানসনের দুই মালিক হাসান ও সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। পালিয়ে থাকা দুই আসামি এরইমধ্যে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদুল ইসলাম বুধবার (১৩ মার্চ) বলেন, ‘দুই আসামি এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এ কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা জানতে পেরেছি, ওই দুইজন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে তাদের হাজির হতে হবে।’

‘এখন তাদের খুঁজে পেতে সমস্যা হবে না। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব। ভবনে কী কী ছিল, কার কাছে কত টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। আশা করি, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এ সব তথ্য জানতে পারব।’

পুলিশ পরিদর্শক আরও বলেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউনের মালিক কে বা কারা ছিলেন জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তখন গোডাউন মালিকদের ‍খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে।

হাইকোর্ট সুত্রে জানা যায়, ওয়াহেদ ম্যানসনের মালিক হাসান ও সোহেল আইনজীবী মমতাজ উদ্দিনের মাধ্যমে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত (১১ মার্চ) সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের তিন সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।

হাইকোর্টের ওই আদেশে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

জামিন শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।’

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রত্যেক প্রতিবেদনেই আগুন লাগার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়াহেদ ম্যানসনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণে মাধ্যমে আগুন ছড়িয়েছে। এছাড়া বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে প্রত্যেক প্রতিবেদন।

যদিও ঘটনার পর এলাকাবাসী ও কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি তদন্তের আগেই বলেছেন, গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ওইদিন অন্তত ৭০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

ভয়াবহ এই ঘটনার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পুরান ঢাকা থেকে যে কোনো মূল্যে রাসায়নিক গুদা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা আসে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়মিত অভিযান চালায়। এরইমধ্যে অনেক কেমিক্যাল গোডাউনের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে টাস্কফোর্স।

পুরান ঢাকার সড়কগুলো কীভাবে প্রশস্ত করা যায়। বাসাবাড়িগুলো কীভাবে ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করা যায় সে জন্য নতুন করে দমকল বাহিনী কাজ শুরু করে। দমকল বাহিনী আগুন লাগার স্থানে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় লোকজন যেন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারছে ফায়ার সার্ভিস নতুন করে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

আগুন ওয়াহিদ ম্যানসন চুড়িহাট্টা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর