কাউন্সিলরের পিটুনি: কাজ বন্ধ রেখে চসিকে বিক্ষোভ
১৪ মার্চ ২০১৯ ১২:৩৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে কাউন্সিলরের ‘মারধরের’ প্রতিবাদে প্রায় আড়াই ঘন্টা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। পরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গিয়ে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে তারা কাজে যোগ দেন।
চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় নগর ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। এসময় ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছাড়া সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বিক্ষোভে যোগ দেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এছাড়া কর্মকর্তাকে হেনস্থার প্রতিবাদে সকাল থেকে ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা অপসারণের কার্যক্রমও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বন্ধ করে দেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নগর ভবনের সামনে সকাল থেকে মাইক লাগিয়ে সমাবেশের পাশাপাশি দফায় দফায় মিছিল করে বিক্ষোভ। মিছিল-সমাবেশে অভিযুক্ত কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বালিকে ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো.মোরশেদুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) কাউন্সিলর আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তাতে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা কাজে যোগ না দিয়ে নিচে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। পরে মেয়র এসে বলেছেন, তিনি আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যেই কাউন্সিলর ও আমাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন। এরপর সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন।’
এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নগর ভবনে কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বালি পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা মো.মোরশেদুল আলমকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মেয়রের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে মোরশেদুল আলম জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তিনি প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার কক্ষে বসে কথা বলছিলেন। এসময় ইসমাইল হোসেন বালি সেখানে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। মোরশেদ প্রতিবাদ না করে স্থান ত্যাগ করার সময় কাউন্সিলর তার পেছনে এসে তার গায়ে হাত তোলে এবং লাথি মারেন। একপর্যায়ে কাউন্সিলর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
তবে কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বালি তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন বালি চট্টগ্রাম নগরীর ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ড থেকে ২০১০ সালে ও সর্বশেষ ২০১৫ সালে দুইদফায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ