Wednesday 15 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুদক পরিচয়ে প্রতারণা করলে কমিশনকে জানানোর আহ্বান


১৪ মার্চ ২০১৯ ১৬:৪৫

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনার প্রমাণ পাওয়ার পর সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কমিশনকে জানানোরও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

দুদক পরিচয়ে প্রতারণা থেকে প্রতিকার পেতে তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের (মোবাইল ০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করে সংস্থাটি।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনেক প্রতারক রয়েছেন যারা কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে। তারা বিভিন্ন দফতর বা সংস্থায় বিভিন্ন অনৈতিক তদবির করছেন। কমিশন এ জাতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

তিনি জানান, কমিশনের নিজস্ব গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন উৎস হতে কমিশন অবহিত হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে একাধিক প্রতারক বা প্রতারকচক্র কমিশনের মামলা, অভিযোগ অথবা কাল্পনিক মামলা থেকে অব্যাহতি অথবা অভিযুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে অনৈতিক অর্থ দাবি করছে। কমিশন এ জাতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

দুদক জানায়, কমিশনের গোয়েন্দা তৎপরতায় ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র রাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে থেকে প্রতারক ফয়সল রানা ওরফে মো. ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর ৩০ নয়াপল্টন, ভিআইপি রোডে ‘গোল্ডেন প্লেট রেস্টুরেন্ট’ এলাকা থেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ভুয়া দুদক কর্মকর্তা হাসান মুন্না ওরফে রফিককে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেলের (এনটিএমসি) সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আরেক ভুয়া দুদক কর্মকর্তা নাজমা, যার প্রকৃত নাম রাজু মিয়াকে গ্রেফতার ও মামলা করা হয়। একইভাবে ২ ফেব্রুয়ারি, ভুয়া দুদক কর্মকর্তা কথিত সিরাজুল ইসলাম ওরফে হাজী জহিরুল হুদা ওরফে প্রশান্ত ওরফে সুশান্ত ওরফে মনিরুজ্জামান মিয়া ওরফে শহিদুল ইসলাম, যার প্রকৃত নাম আনিসুর রহমান বাবুল, তাকে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদক আরো জানায়, প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। যা কমিশন নিরলসভাবে পরিচালনা করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুসারে কোনো একক ব্যক্তির অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার যেমন কোনো সুযোগ নেই, তেমনি অভিযুক্ত হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।

সারাবাংলা/এসজে/এমও

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর