ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আটক ৪
১৫ মার্চ ২০১৯ ১১:৩৭
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ক্রাইস্টচার্চ সন্ত্রাসী হামলায় যা যা ঘটেছে,
-
প্রথম হামলা চালানো হয় ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্ক মসজিদের ভেতরে।
-
দ্বিতীয় হামলা চলানো হয় শহরতলী লিনউডের অপর একটি মসজিদে।
-
ধারণা করা হচ্ছে সশস্ত্র বন্দুকধারীর সংখ্যা দুই।
-
ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতালে বিস্ফোরকের খোঁজে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
-
কয়েকটি গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার ও রাস্তায় গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
-
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ আটক করেছে ৪ জনকে।
-
বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের বাকি ম্যাচ।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে পৃথক দুটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছে, ওটোগা ডেইলি টাইমস। এদিকে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ৯ থেকে ২৭ বলা হলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
হামলায় জড়িত থাকা অস্ত্রধারী কেউ এখনো শহরে রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ক্রাইস্টচার্চ শহরের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে ঘরের বাইরে না বেরুবার জন্য। মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চের তৃতীয় একটি স্থানেও গোলাগুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরক থাকার সন্দেহে হাসপাতালে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশংসা করেছেন। বুশ বলেন, এটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, অনেক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরের দিকে জুম্মার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের মধ্যাঞ্চল ও শহরতলী লিনউডের দুই মসজিদে হামলা চালিয় দুই পৃথক বন্দুকধারী। এক হামলাকারী অনলাইনে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওটিতে হামলাকারী দাবি করেছে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। ধারণা করা হচ্ছে ওই বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ান। সে গুলি চালানোর সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করেছে।
এই ঘটনায় পুরো ক্রাইস্টচার্চে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। পুরো শহর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডারন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটা নিউজিল্যান্ডের অন্যতম কালো দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সারাবাংলা/এনএইচ