অভিজিৎ হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
১৫ মার্চ ২০১৯ ১৫:৫৯
।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। বুধবার (১৩ মার্চ) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এই চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে ১৫ জনের অব্যাহতিও চাওয়া হয়েছে। চার্জশিট বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৫ মার্চ তারিখ ধায করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো—মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ। এর মধ্যে মেজর জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক।
যাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে তারা হলো—আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুস সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, অনিক, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল ও অন্তু।
আরও পড়ুন: শিগগিরই অভিজিৎ হত্যা মামলার চার্জশিট
মৃত্যুবরণ ও নাম ঠিকানা না পাওয়ার কারণে মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মুকুল রানা খিলগাঁও এলাকায় বন্ধুকযুদ্ধে মারা যান। অন্য পাঁচ আসামি আলী ওরফে খলিল, অনিক, অন্তু, সেলিম ও হাসান নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন করেন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলাটিতে অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমএনএইচ