জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে খালেদাকে বন্দি রাখা হয়েছে
১৬ মার্চ ২০১৯ ১৪:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন। দলটির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একজন সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতা ঘোষকের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জেলে। আর স্বাধীনতার চেতনা ফেরি করেন যিনি, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার কোনো অবদান নেই। তিনি (শেখ হাসিনা) স্বামীকে নিয়ে এই ঢাকা শহরে ছিলেন। তিনি তার স্বামীকে বলতে পারতেন- যাও দেশের সীমান্তে দামাল ছেলেদের সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোল।’
‘সেই কথা তো বলেননি আপনি। অথচ আজ আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেন। আর যে ব্যক্তিটি স্ত্রী, পুত্রের কথা না ভেবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে, যুদ্ধে নেমে পড়লেন, তার স্ত্রী আজকে কীট-পতঙ্গের মধ্যে বাস করে। যে ফ্লোরের মধ্যে ইঁদুর দৌড়ায়, সেখানে বাস করতে হয় তাকে। এটা হিংসা। এটা ভয়ংকর ধরনের জিদ ‘— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আইন, আদালত, বিচার ব্যবস্থা— সব কিছু তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে জবরদস্তি করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছেন। কিন্তু এগুলো করে পার পাওয়া যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমন করবেন, হত্যা করবেন, মিথ্যা মামলা দেবেন, ক্রসফায়ার দেবেন, গুলি করে পঙ্গু করবেন। তারপরও তারা সবাই চুপ করে থাকবে। আর আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা একটু একটু করে বিক্রি করে দেবেন— এটি বাংলাদেশে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশে যদি পদ্মা-মেঘনা বহমান থাকে, এই দেশে যদি কুশিয়ারা-সুরমা নদী বহমান থাকে, এ দেশে যদি দোয়েল-শ্যামা গান গায়, তাদের কুজন শোনা যায়। তাহলে জাতীয়তাবাদী শক্তির উচ্চারিত কণ্ঠস্বর এ দেশ শোনা যাবে।’
প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে ধ্রুপদী চরিত্রের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘তিনি মাথা না নোয়ানো একজন নির্ভীক নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের কাছে সেই দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, শত প্রতিকূলতার মাধ্যমেও কীভাবে মাথা উঁচু করে রাখতে হয়। আমরা যদি এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারি, তাহলে এই সংকটকাল অতিক্রম করতে পারব।’
মিলাদ মাহফিল ও স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান, আবদুস সালাম আজাদ, খন্দকার আবু আশফাক, তাইফুল ইসলাম টিপু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেকসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/জেএএম