নিউজিল্যান্ডে হামলা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো
১৬ মার্চ ২০১৯ ১৫:৩৫
।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে যে ক্ষোভ ছড়িয়ে দেওয়া হলো, তা মূলত উত্তাপ ছড়াবে বলে মনে করেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিশ্বে একটা নতুন গ্রুপের সৃষ্টি হতে পারে। তা হলে হবে ভয়ঙ্কর। এটি এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো। এই জায়গাতেই আমাদের কাজ করতে হবে। ইসলামিক জ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে। বলতে হবে, ইসলাম কত উদার। আমরা মাফ করতে জানি। তারা হত্যা করেছে তো কি হয়েছে। আমরা প্রতিশোধ নেব না।’
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিএফডিসিতে ‘তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার উগ্রতা বাড়ার প্রধান কারণ’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাবের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, বিশ্বে যেখানেই উগ্রতা ছড়িয়েছে তার পেছনের মূল কারণ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণেই উগ্রতা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। নিউজিল্যান্ডের ঘটনাতেও হামলাকারী নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করেছে। একের পর এক উগ্রবাদী পোস্ট করেছে। এসব দেখে অনেকেরই উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। এসব দেখে অনেকে ট্রমায় ভুগবে। আমাদের ক্রিকেটাররাও অনেক দিনের ট্রমায় পড়বে। ভূলতে পারবে না যা দেখেছে।
র্যাব ডিজি বলেন, নিউজিল্যান্ডের ঘটনা বিশ্বকে আরেকবার জানিয়ে দিলো, বিশ্বের কোথাও নিরাপদ ভাবা যাবে না। সব জায়গাতেই সন্ত্রাসীরা টার্গেট করতে পারে। নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আমরা যা করে থাকি। কনফিডেন্স থাকা ভালো তবে ওভার কনফিডেন্স ভালো ফল বয়ে আনে না। বিশ্বের দুই নম্বর শান্তির দেশ হিসেবে খ্যাত নিউজিল্যান্ডে হামলার মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বকে জাগিয়ে তুলেছে। সবাইকে নিরাপত্তা নিয়ে এক যোগে কাজ করতে হবে। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের ডিজি বলেন, নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর বিকেল থেকে র্যাবের প্রতিটা টিম রাজধানীসহ সারাদেশে টহল দিয়েছে। কিছু স্থান আছে যেগুলো আমরা আইডেন্টিফাই করেছি। সম্ভাব্য কোথায় কোথায় সহিংসতা হতে পারে ওইসব এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। এটা আমাদের করা লাগত না যদি আমরা ভাবতাম নিউজিল্যান্ডে হয়েছে, আমাদের দেশে হবে না। কোথায় হবে সেটি পরের ঘটনা। তার আগেই আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চাই। মানুষকে বোঝাতে হবে, আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।
সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম