গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
১৬ মার্চ ২০১৯ ১৮:৪২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। গুলি-বোমা ছিল প্রতিদিনকার ব্যাপার। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে এক দলের নেতাকর্মীরা অন্য দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করত। আমরা ক্ষমতায় এসে চিন্তা করলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্ত্রের প্রতিযোগিতা কেন থাকবে?
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো লেখাপড়ার জায়গা। ২০০৮ থেকে ২০১৮ এই দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়নি।’
গণভবনে শনিবার (১৬ মার্চ) ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমল থেকে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। ডাকসু নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের জন্য। আমরা সেটা করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে ছাত্রদলই যথেষ্ট। আমি ছাত্রলীগের হাতে কলম তুলে দিয়ে জবাব দিয়েছিলাম, অসির থেকে মসীর জোর বেশি। সেটাই আমাদের প্রমাণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোটা আন্দোলন করছে, যুক্তি দিয়ে আন্দোলনের বিষয়টি বলতে হবে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ। তার বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে যাওয়া, ভিসির গাড়িতে আগুন নেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য না। আমাদের সময়েও ভিসির বাড়ির সামনে অবস্থান-ধর্মঘট করা হতো। খুব বেশি কিছু হলে ভিসির বাড়ির ফুলের টবই ভাঙা।’
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পাশাপাশি এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই।’
সারাবাংলা/একে